• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.
ধুনটে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ

ওসিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | স্টাফ রিপোর্টার অক্টোবর ৮, ২০২৫, ১০:৩০ পিএম ওসিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

বগুড়ার ধুনটে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় করা মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. জিয়া উদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, মামলার মূল আসামি জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক মুরাদুজ্জামান ওরফে মুকুল ও মামলার আলামত নষ্টের অভিযোগে অভিযুক্ত গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-২ এ কর্মরত ধুনট থানার সাবেক ওসি কৃপা সিন্ধু বালা (৫১)।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম আদালতে ১ হাজার ৫০০ পাতার চার্জশিট দাখিল করেন। ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি অ্যাডভোকেট মো. মোজাম্মেল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 
তিনি জানান, ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল কলেজ শিক্ষক দম্পতির স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে সেই দৃশ্য নিজের মুঠোফোনে ধারণ করেন প্রভাষক মুরাদুজ্জামান। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা একই বছরের ১২ মে ধুনট থানায় মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন ওসি কৃপা সিন্ধু বালা। এ মামলায় মুরাদুজ্জামানকে গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে একটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। ওই ফোনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণের প্রমাণ পান পুলিশ। তবে অভিযোগ ওঠে, মামলা তদন্তকালে ওসি কৃপা সিন্ধু বালা আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে জব্দ করা মুঠোফোন থেকে ধর্ষণের ভিডিওসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত নষ্ট করে ফেলেন।
মামলার বাদী বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে ওসির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওসি কৃপা সিন্ধু বালাকে ধুনট থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় এবং মামলাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়।
মোজাম্মেল হক জানান, পরবর্তীকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়ে বগুড়া পিবিআই’র এসআই সবুজ আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ওসি কৃপা সিন্ধু বালাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত না করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ফলে মামলার বাদী নারাজির আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআই-কে সম্পূরক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ৬ বার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর অবশেষে পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামি মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে এবং মামলার আলামত নষ্ট করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক ওসি কৃপা সিন্ধু বালার বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

Side banner