ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিলের আকার ৩ হাজার কোটি টাকা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। সেই সঙ্গে ঋণ পরিশোধের সময় ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিছুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও এর উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর আমন্ত্রণে বিএমবিএ’র সভাপতি মাজেদা খাতুনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এই বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে বিএমবিএ’র পক্ষে থেকে দীর্ঘমেয়াদে অর্থায়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারকে অগ্রাধিকার প্রদানে সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে আইপিও রুলস যুক্তিসংগত পরিবর্তনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলমান নেগেটিভ ইক্যুইটি সমস্যার সমাধানে সরকারি নীতিগত সহায়তা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এছাড়া তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি করা, মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ, লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত কর নির্ধারণে অগ্রিম কর্তন করা কর সমন্বয়ের সুযোগ রাখা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় মার্জিন ঋণ ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা, সরকারি ও বহুজাতিক ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি করতে নীতিগত সহায়তা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
ড. আনিছুজ্জামান চৌধুরী আলোচনায় বলেন, পুঁজিবাজার অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। প্রধান উপদেষ্টার গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলোর মধ্যে পুঁজিবাজার উন্নয়ন একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, সরকার মার্চেন্ট ব্যাংকের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় প্রাসঙ্গিক নীতিগত সহায়তা প্রদানে ইতিবাচক। পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিএমবিএ কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো বিবেচনার জন্য গ্রহণ এবং সার্বিকভাবে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন : :