নড়াইলের লোহাগড়া পৌর শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা থেকে লোহাগড়া বাজারমুখী প্রধান সড়কটি বর্তমানে পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা এই সড়কে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে অন্তত ১৩-১৪টি গ্রামের হাজারো মানুষ।
পৌরসভা গঠনের ২৪ বছর পেরিয়ে গেলেও লক্ষীপাশা চৌরাস্তা থেকে লোহাগড়া বাজার সেতু পর্যন্ত মাত্র ৪৩৫ মিটার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির উন্নয়নের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ফলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, সড়কের বড় বড় গর্তে প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেল, ভ্যান ও ইজি বাইক উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মানুষ। বর্ষা মৌসুমে এই দুরবস্থা আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের গর্তগুলোতে জমে যায় পানি। তখন বোঝাইই যায় না কোথায় গর্ত, কোথায় সমান। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে লোহাগড়া পৌরসভার প্রকৌশলী রতন কুমার রায় বলেন, এই সড়কটি একবার টেন্ডার হয়েছিল বিভিন্ন ঝামেলার কারণে সেটি বাদ হয়ে যায়, তবে পুনরায় খুব শীগ্রই আবার নতুন টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে।
চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে গাড়ির চাকা ও যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়। ভাঙাচোরা রাস্তায় গাড়ি চালাতে গেলে সব সময় ভয় লাগে।
স্থানীয় বাসিন্দা রুবিনা খাতুন বলেন, রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে সময় দ্বিগুণ লাগে। জরুরি অবস্থায় এটা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি থাকলেও নির্বাচন শেষে এই সড়ক উন্নয়নের কথা কেউ মনে রাখেন না। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত সড়কটির কোনো টেকসই সংস্কার হয়নি।
লোহাগড়া বাজারগামী কাঁচা পণ্য বোঝায় ট্রাক ড্রাইভার রাজু মিয়া বলেন, এই রাস্তাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, অথচ দেখার কেউ নেই। এটা কি পৌরসভা?
এলাকাবাসীর দাবি, জরুরি ভিত্তিতে এই সড়কের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রয়োজন। নয়তো প্রতিদিন দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগ বাড়তেই থাকবে।
তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগ, পৌর কর্তৃপক্ষ এবং জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন : :