• ঢাকা
  • রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

প্রেক্ষাগৃহে ইন্দোনেশিয়ান হরর ‘কিতাব সিজ্জিন দান ইল্লিয়িন’


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | বিনোদন ডেস্ক অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ০১:০৬ পিএম প্রেক্ষাগৃহে ইন্দোনেশিয়ান হরর ‘কিতাব সিজ্জিন দান ইল্লিয়িন’

হরর জনরার দর্শকদের কাছে ইন্দোনেশিয়ান ভৌতিক সিনেমাগুলোর জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। আর এই ধারার অন্যতম সফল নির্মাতা হলেন হাদ্রা দায়েং রাতু, যার ২০১৯ সালের ‘মাকমুম’ এবং ২০২৩ সালের ‘সিজ্জিন’-এর মতো ছবিগুলো ইন্দোনেশিয়া ও মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। 
এই নির্মাতার সিনেমা মানেই পর্দায় এক তীব্র উত্তেজনা, ধুকধুকানি আর গা-ছমছমে ভয়ের অভিজ্ঞতা। তারই নতুন ছবি ‘কিতাব সিজ্জিন দান ইল্লিয়িন-ঞযব ইড়ড়শ ঙভ ঝরললরহ অহফ ওষষরুুরহ’-কে ঘিরে এখন আলোচনা। গত জুলাইয়ে ইন্দোনেশিয়ায় মুক্তির পর এটি সমালোচক ও দর্শকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পায় এবং ২৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পায়।
এবার বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য সুখবর, আজ ৩১ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকেই স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন ইউনিতা সিরেগার, দিন্দা কান্যদেবীসহ অনেকে।
এই সিনেমাটি সাধারণ হরর গল্পের চেয়ে ভিন্ন এক আধ্যাত্মিক ও অন্ধকার জগতে প্রবেশ করায়। ধর্মীয় বিশ্বাস, মানব-পাপ এবং ভয়ংকর প্রতিশোধের এক আখ্যান নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘কিতাব সিজ্জিন দান ইল্লিয়িন’ এর গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্র ইউলি, তার পরিবারের ওপর হওয়া দীর্ঘদিনের অপমানের প্রতিশোধ নিতে কালো জাদুর পথ বেছে নেয়। 
ইসলামী ধারণা থেকে নেওয়া ‘সিজ্জিন’ (জাহান্নাম) এবং ‘ইল্লিয়িন’ (জান্নাত)-এর মোটিফগুলো এখানে প্রতীকীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা মানবাত্মার পরিণতি এবং কর্মফলকে নির্দেশ করে। 
ধর্মীয় বিষয়বস্তু এবং প্রতিশোধের মিশেল থাকার কারণেই এই নির্মাতার সিনেমাগুলো মুসলিম দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। পরিচালক হাদ্রা দায়েং রাতু এই ছবির জন্য কানাডার ফ্যান্টাসিয়া উৎসবে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কারও অর্জন করেছেন।

Side banner